
আফ্রিকায় বেড়েই চলছে ইসরায়েলের প্রভাব
গত পাঁচ বছরে আফ্রিকায় কূটনীতি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্য খাতে নিজেদের উপস্থিতি দ্রুত বৃদ্ধি করেছে ইসরায়েল। আফ্রিকা এখন তেল আবিবের জন্য কৌশলগত অংশীদার এবং নতুন একটি বাজারে পরিণত হচ্ছে।
কূটনীতিঃ
আফ্রিকা মহাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের এখন পর্যন্ত ৪৬টি দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। এখানে ১২ টি দূতাবাস পরিচালনা করছে ইসরায়েল।
২০২১ সালে আফ্রিকান ইউনিয়নের (AU) পর্যবেক্ষক মর্যাদা পায়, যদিও পরে ২০২৩ সালে তা স্থগিত হয়। উচ্চপর্যায়ের সফরের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আফ্রিকা সফর এবং কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট রুটোর ইসরায়েল সফর।
নিরাপত্তাঃ
সন্ত্রাসবিরোধী সহায়তা চলছে নাইজেরিয়া ও চাদের সাথে।
মোসাদ–চাদ সম্পর্ক: ২০২৩ সালে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়।
সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা আছে মরক্কো, কেনিয়া ও উগান্ডার সাথে।
প্রতিরক্ষাঃ
২০২৩ সালে ইসরায়েল আফ্রিকায় ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রপ্তানি করে, যা বৈশ্বিক বাজারের ১%।
সেনেগাল সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও আফ্রিকান লায়ন ২০২২ সামরিক মহড়া।
বিশেষ বাহিনীর সহযোগিতা আদান-প্রদান হয় চাদ, উগান্ডা, কেনিয়া ও নাইজেরিয়ার সঙ্গে।
মরক্কোর সঙ্গে চুক্তিঃ
২০২২ সালে মরক্কোকে ১৫০টি ড্রোন সরবরাহ করে ইসরায়েল। দুই দেশ যৌথ ড্রোন কারখানা নির্মাণ করেছে। মরক্কোর সাথে ইসরায়েলের এক বিলিয়ন ডলারের স্যাটেলাইট প্রকল্পের আলোচনা চলছে।
অর্থনীতিঃ
আফ্রিকার সঙ্গে ইসরায়েলের বাণিজ্য বর্তমানে ১.৫%, তবে ক্রমশ বাড়ছে। মহাদেশটিকে ধরা হচ্ছে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য বাজার হিসেবে।
কৃষির ক্ষেত্রে সেচ, পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু প্রযুক্তিতে সহায়তা করছে ইসরায়েল। IMPROVATE (২০২০) উদ্যোগে বীজ, স্মার্ট কৃষি, কীটনিয়ন্ত্রণ সহ যাবতীয় সুবিধা প্রদান করছে ইসরায়েল।
মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্টুডেন্টদেরকে বৃত্তি দিচ্ছে ও টেক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে।
সূত্র: ক্লাশ রিপোর্ট
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক