
ইউক্রেনের ওপর শান্তি চুক্তির চাপ বাড়ছে, তবে জেলেনস্কিকে একা ছাড়তে নারাজ ইউরোপ
রাশিয়া-আমেরিকা শীর্ষ বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে দ্রুত সমঝোতায় আসতে হবে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক পল গনচারফ।
তিনি বলেন, অগ্রগতি হয়েছে এবং রাশিয়ার অবস্থান স্বীকৃত হয়েছে, তবে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে তিনটি বিষয়ের ওপর—
১। যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা: রাশিয়া অগ্রসর হয়েই চলছে, এভাবে চলতে থাকলে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
২। জেলেনস্কির ক্ষমতায় টিকে থাকা: ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জেলেনস্কির অবস্থান ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
৩। ইউরোপের ভূমিকা: ইউরোপ এখনো যে ভাবে গড়িমসি করছে তাতে তারা হস্তক্ষেপ করে সংঘাত দীর্ঘায়িত করবে কি না, সেটা দেখার বিষয়
সবচেয়ে সম্ভাব্য চিত্র হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধ শেষ হবে রাশিয়ার বিজয়ে। এতে দোনবাস রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আসবে, একটি বাফার জোন গড়ে উঠবে এবং ইউক্রেনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে— তবে শর্ত থাকবে ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা।
অন্যদিকে পুতিনের সাথে দেখা করে এবার জেলেনস্কির সাথে বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প। এর আগেরবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি মিটিং তো একেবারে ঝগড়ায় রূপ নিয়েছিল। সেখান থেকে ট্রাম্পকে বুঝিয়ে শুনিয়ে লাইনে আনতে ইউরোপীয় নেতাদের অনেক বেগ পোহাতে হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তিতে ইউরোপীয় নেতাদের হিসাবও তো বুঝে নিতে হবে। সব কিছু মিলিয়ে ট্রাম্পের সামনে এবার আর জেলেনস্কিকে একা ছাড়তে চাইছেন না ইউরোপীয় নেতারা।
তাই আগামী কাল সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে যোগ দিতে চাচ্ছেন অনেক ইউরোপীয় নেতারা। এই তালিকায় আছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান ভন ডের লেয়েন, জার্মানির চ্যান্সেলর মেরয, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলনি, ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটেও এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক