1. Home
  2. বিশ্ব
  3. ইরানের জন্য এসইউ-৩৫এস মডেলের যুদ্ধবিমান তৈরি শুরু করেছে রাশিয়া
ইরানের জন্য এসইউ-৩৫এস মডেলের যুদ্ধবিমান তৈরি শুরু করেছে রাশিয়া

ইরানের জন্য এসইউ-৩৫এস মডেলের যুদ্ধবিমান তৈরি শুরু করেছে রাশিয়া

0
  • 4 days ago,

ইউক্রেন-ভিত্তিক ইউনাইটেড২৪ মিডিয়া সম্প্রতি প্রকাশ করে যে, রাশিয়া গোপনে ইরানের জন্য নতুন করে ১৬টি সুখোই এসইউ-৩৫এস মডেলের যুদ্ধবিমান তৈরি শুরু করছে, যা আগামী ২০২৭ সালের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করা হবে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একাধিক রাশিয়ান কমব্যাট এয়ারক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট বা কারখানায় এই যুদ্ধবিমান তৈরি করা হচ্ছে।

এদিকে, ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার দেওয়া তথ্যমতে, ইরান খুব সম্ভবত গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আনুমানিক মোট ৪৮-৫০টি রাশিয়ার সুখোই কর্পোরেশনের তৈরি এসইউ-৩৫এস সিরিজের হাইলি অ্যাডভান্স ফাইটার জেট ক্রয়ের চুক্তি করে। আর এই ক্রয়ের চুক্তিমূল্য হতে পারে প্রায় ৬.৫ বিলিয়ন ডলার। আবার গত ২০২৩ সালের দিকে ইউরো এশিয়ান টাইমস নিউজে এই সংখ্যাটি ২৪ দেখানো হয়েছিল।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে তেহরানের আকাশে রাশিয়ার তৈরি একটি নতুন মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করতে দেখা গেছে, যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে রাশিয়ার সরবরাহ করা সম্ভাব্য নতুন চালানের একটি অংশ হতে পারে। যা আপাতত হয়ত ইরানের আকাশ সুরক্ষায় স্টপ-গ্যাপ পূরণের লক্ষ্যে রাশিয়া বেশকিছু যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে থাকতে পারে। যদিও এ সম্পর্কে রাশিয়া কিংবা ইরানের তরফে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

বর্তমানে বিশ্বে প্রথম সারির টুইন ইঞ্জিনের ৪++ প্রজন্মের হেভি কমব্যাট এয়ারক্রাফট হিসেবে রাশিয়ার সুখোই কর্পোরেশনের তৈরি এসইউ-৩৫এস সুপার ফ্ল্যাংকার-ই মডেলের যুদ্ধবিমানকে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। এটি হচ্ছে আসলে একটি সুপার ম্যানুভারেবল এবং বহুমাত্রিক যুদ্ধবিমান, যা গত ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

এসইউ-৩৫এস সুপার ফ্ল্যাংকার-ই সিরিজের যুদ্ধবিমানকে পুরোনো এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের ৪.৫ জেনারেশনের একটি আপগ্রেড ভার্সন হিসাবে ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছে। আর ইরানের জন্য তৈরিকৃত লং রেঞ্জের হেভি কমব্যাট এয়ারক্রাফট হিসেবে পূর্বের ইঞ্জিনের পরিবর্তে এতে দুটি শক্তিশালী এএল-৪১এস১এস আফটার টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।

এই যুদ্ধবিমানটিকে উচ্চ গতিশীলতা, শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবস্থা এবং উন্নত এভিয়নিক্স সিস্টেম দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। তবে রাডার হিসেবে রাশিয়া এখনো সেই পুরোনো (PESA) রাডার সিস্টেম ব্যবহার করছে। দেশটি হয়ত এখনো নতুন প্রজন্মের (AESA) রাডার সিস্টেম তৈরিতে বড়ো ধরনের সফলতা পায়নি।

এই যুদ্ধবিমানের সর্বোচ্চ গতি প্রায় ম্যাক ২.২৫ (২,৭০০ কিলোমিটার/ঘণ্টা) এবং এর কমব্যাট রেঞ্জ প্রায় ৩,৬০০ কিলোমিটার। এয়ার কমব্যাট মিশনের জন্য এটিকে আর-৭৭ এবং আর-৭৩ এয়ার টু এয়ার মিসাইল ইনস্টল করা হয়েছে। এছাড়া, গ্রাউন্ড অ্যাটাক মিসাইল হিসেবে কেএইচ-২৯এল/টিই এবং এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল হিসেবে কেএইচ-৩১পি মিসাইল ব্যবহার করে।

এসইউ-৩৫এস মডেলের যুদ্ধবিমানে উন্নত এবং আধুনিক এভিয়েশন সিস্টেম হিসেবে Irbis-E প্যাসিভ ইলেকট্রনিক স্ক্যানিং অ্যারে (PESA) রাডার, উন্নত ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম এবং ডিজিটাল ফ্লাই-বাই-ওয়্যার প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে এর পার ইউনিট কষ্ট হতে পারে প্রায় ৮৫-১০০ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি (ট্রেনিং অ্যান্ড ওয়েপন্স প্যাকেজসহ)।

নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক