ইসরায়েলের নিষিদ্ধ ভূগর্ভস্থ কারাগারে রাখা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের
দ্যা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরায়েল ডজনখানেক ফিলিস্তিনিকে ‘রাকেফেট’ নামে এক ভূগর্ভস্থ কারাগারে আটক রেখেছে— যেখানে কোনো অভিযোগ, বিচার বা আদালতের প্রক্রিয়া ছাড়াই বন্দিদের রাখা হয়।
তাদের দিনের আলো দেখার সুযোগ নেই, খাবার কম, এবং বাইরের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন এক নার্স, যাকে তার কর্মস্থল থেকে তুলে নেওয়া হয় এবং এক ১৮ বছর বয়সী খাবার বিক্রেতা, যিনি নয় মাস কারাভোগের পর অক্টোবরের অস্ত্রবিরতির সময় মুক্তি পান। দুজনই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সূত্র জানায়, ওই নার্স গত জানুয়ারি থেকে একবারও সূর্যের আলো দেখেননি।
রাকেফেট কারাগারটি ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে বিপজ্জনক অপরাধীদের জন্য নির্মিত হলেও অমানবিক পরিবেশের কারণে ১৯৮৫ সালে বন্ধ করা হয়।
কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর, নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এটি পুনরায় চালু করেন, দাবি করেন এটি “হামাস ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের জন্য।” বাস্তবে অধিকাংশ বন্দি নাগরিক ফিলিস্তিনি, যাদের সঙ্গে কোনো সশস্ত্র সংগঠনের সম্পর্ক নেই।
বর্তমানে সেখানে প্রায় ১০০ জন বন্দি রয়েছে, যদিও কারাগারটির ধারণক্ষমতা ছিল মাত্র ১৫ জনের।
সেলগুলো ভূগর্ভস্থ, জানালাবিহীন এবং বাতাসবিহীন, যেখানে বন্দিরা নিয়মিত মারধর, কুকুরের হামলা, অনাহার, চিকিৎসার অভাব এবং নোংরা পরিবেশে দিন কাটাচ্ছেন।
আইনজীবীদের অভিযোগ, গার্ডরা কথা বলার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং সাক্ষাৎ কক্ষগুলোতে গোপন নজরদারি বসানো হয়েছে।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক