
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৪০। আক্রন্ত হয়েছেন কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ। সিকিমে সেনা ক্যাম্পে ভূমিধস হয়েছে। তাতে মারা গেছেন তিন জন। নিখোঁজ ৬ জন। বার্তা সংস্থা পিটিআই’কে উদ্ধৃত করে অনলাইন দ্য হিন্দু বলছে, সোমবার বন্যা পরিস্থিতি জটিল অবস্থায় ছিল। গত কয়েক দিনে সেখানে ভারি বর্ষণ হয়। এর ফলে দেখা দেয় মারাত্মক বন্যা ও ভূমিধস। এতে আসামে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন। এরপরে অরুণাচল প্রদেশে নিহত হয়েছেন ১০ জন। মেঘালয়ে ৬, মিজোরামে ৫, সিকিমে তিন এবং ত্রিপুরায় একজন মারা গেছেন। আসামের ২২টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
অরুণাচলের লোহিত জেলায় আরও একজন মানুষ মারা গেছেন। এতে সেখানে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০। স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার বলেছে, ২৩টি জেলায় ১৫৬টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। গভর্নর লেফটেন্যান্ট কে.টি পারনায়েক (অবসরপ্রাপ্ত) জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। রিপোর্টে বলা হয়, রাজ্যের বড় বড় নদী এবং তার শাখা নদীগুলো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিম কামেঙ্গ, কামলে, লোয়ার ও আপার সুবানসিরি, পাপুম পাড়ে, দিবাঙ্গ ভ্যালি, লোয়ার দিবাং ভ্যালি, লোহিত, ছাঙ্গলাঙ্গ, ক্রা দাদি, কুরুঙ্গ কুমি ও লঙ্গডিং জেলায়। তবে ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। কারণ, সোমবার সেখানে বৃষ্টি হয়নি। বিপদসীমার অনেকটা নিচ দিয়ে সেখানে নদনদী প্রবাহিত হচ্ছিল। মিজোরামে ভারি বৃষ্টি, ভূমিধস, পাথরধস, পানিবন্দ থাকার কারণে সব স্কুল বন্ধ রয়েছে। এর আগে ২৯শে মে ও ৩০শে মে দুইদিন স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
নিউজ টুডে বিডি/ডেস্ক