
বিএনপিবিহীন নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনের নৌকার প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌসের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে নেই। তবুও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন চলচ্চিত্র থেকে রাজনীতিতে আসা এই অভিনেতা।
রাজপথে বেড়ে না উঠলেও রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে তৎপর ফেরদৌস। শোবিজেও ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছেন তিনি। সতীর্থ ও সহকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এই চিত্রনায়কের। ফলে সংসদে যাওয়ার লড়াইয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর হাজারীবাগে “চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট” সংগঠনের ব্যানারে “কালচারাল নাইট” অনুষ্ঠানে নেচে-গেয়ে ফেরদৌসের পক্ষে ভোট চেয়েছেন জনপ্রিয় ব্যান্ড আ্যশেজের জুনায়েদ ইভান, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, সঙ্গীতশিল্পী মিলা ও সালমা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নৌকার প্রার্থী ফেরদৌস বলেন, “বাংলাদেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ঢাকা-১০ শ্রেষ্ঠ আসন। কারণ এটি বঙ্গবন্ধুর আসন, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন, এটি ব্যারিস্টার শেখ তাপসের আসন। আর এই আসনের নৌকা দেওয়া হয়েছে আমার হাতে, এই নৌকা চালাতে হলে আমার সামনে অগণিত মানুষ আপনারা যারা আছেন, আপনাদের আমার প্রয়োজন।”
ঢাকা-১০ আসনে ফেরদৌসসহ পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাকিরা হলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে এ কে এম শামসুল আলম (আম), বিএনএফ থেকে বাহারানে সুলতান বাহার (টেলিভিশন), জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান (লাঙ্গল) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাহরিয়ার ইফতেখার (ছড়ি প্রতীক)।
চার প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন ফেরদৌস। রাজনীতির মাঠে একদম প্রাথমিকের ছাত্র তিনি। সেটি বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করে অনুষ্ঠানে ফেরদৌস বলেন, “আমি যেটা জানি না তা অস্বীকার করতে কোনো অস্বস্তি নেই। আমি শিখে ফেলবো। আমি এখানে (রাজনীতি) শিখতে এসেছি; আমি খুব ভালো ছাত্র ছিলাম। আমাকে শেখাতে হবে না যে মানুষকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়।”
অনুষ্ঠানে দলীয় নৃত্য পরিবেশন শেষে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস দর্শকদের “জয় বাংলা” “জয় বঙ্গবন্ধু” স্লোগান দিতে উদ্বুদ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মঞ্চে হাজির হন জুনায়েদ ইভান। সময় স্বল্পতার কারণে মাত্র একটি গান করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সব শিল্পীরাই ফেরদৌসের পক্ষে নৌকায় ভোট চান। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে আহ্বান জানান।
আগামী ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোটে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১,৯৭০ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে আছেন। এরমধ্যে ২৮টি রাজনৈতিক দলের ১,৫৩৪ জন প্রার্থী। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছেন ২৬৬ জন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী আছেন ২৬৫ জন। তৃণমূল বিএনপির রয়েছেন ১৩৫ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ৫৬ জন।
এছাড়া ৪৩৬ জন দলনিরপেক্ষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আছেন। বর্তমানে প্রার্থীরা ভোটের প্রাচারে আছেন। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালাতে পারবেন তারা।