
ভোটে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে “স্বাধীনতার শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু” বিএনপিকে প্রতিহতের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুধু নিজেরা ভোট দিলে হবে না। বাড়িতে থাকা মা-বোনদের দলে দলে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেছেন, “এ দেশের রাজনীতিতে বিষফোড়া বিএনপি। এ বিষফোড়াকে রাজনীতিতে থেকে মুছে ফেলতে হবে।”
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর নিজ নির্বাচনী এলাকায় কোম্পানীগঞ্জের বামনী বাজারে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আগামী ৭ জানুয়ারি দলে দলে ভোট দিয়ে এ সুযোগকে কাজে লাগান। শুধু নিজেরা ভোট দিলে হবে না। বাড়িতে থাকা মা-বোনদের দলে দলে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। শুধু এ অনুরোধ করতেই আমি এখানে এসেছি।”
এর আগে ওবায়দুল কাদের সকাল থেকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট, শান্তিরহাট, রংমালা বাজার, বাংলা বাজার এবং পরে পেশকারহাট, নতুন বাজার ও টেকেরবাজারসহ আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেন।
মন্ত্রী দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ শেষে বিকেল ৩টা নির্বাচনী এলাকার আরেক উপজেলা কবিরহাটে পথ সভায় বক্তব্য দেবেন।
নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ (লাঙ্গল), জাসদের মকছুদের রহমান মানিক (মশাল), ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা (চেয়ার) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরী (ছড়ি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে টানা চতুর্থ বারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী। তিনি ১৯৯৬ সালে এ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এ আসনে ওবায়দুল কাদেরের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ। তিনি ২০২১ সালের ১৬ মার্চ মারা যান। তিনি জাতীয় পার্টি সরকারের উপরাষ্ট্রপতি এবং ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।
বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। বর্তমানে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালাতে পারবেন তারা।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এখন পর্যন্ত ২৭টি দলের ১,৫১৩ জন ও স্বতন্ত্র ৩৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। এই ১,৮৯৫ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। আদালতের আদেশে আরও কিছু প্রার্থী যুক্ত হতে পারেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী, ১০-১৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আদালতে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র পৌঁছালে তারাও যুক্ত হবেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সংখ্যায়।