
নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত। গত তিনদিন দুপুর পেরিয়ে বিকেলের দিকে কুয়াশার চাদর ভেদ করে রোদের দেখা মিললেও তাপমাত্রা বাড়েনি। সৈয়দপুরে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা আজ দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, ঘনকুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করেনি। ফলে বাংলাদেশ বিমানসহ বেসরকারি কোম্পানির দুটি ফ্লাইটের ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েন। পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে দুপুর আড়াইটার পর বিমান চলাচল শুরু হয়।
জেলায় হঠাৎ শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ। ফসলের মাঠে কৃষি শ্রমিকের উপস্থিতিও কমে গেছে। শীতার্ত মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে বেচাকেনা বেড়েছে রেললাইনের ধারে গরম কাপড়ের।
সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের রিকশা চালক বিধান চন্দ্র বলেন, ‘যেভাবে শীত নাগেছে, বাড়ি থেকে বেড়ায় যায়ছে না বাহে। অ্যাঙ্কা করি শীত থাকিলে বউ, বাঁচ্চাক না খাইয়া থাকিবার নাগিবে।’
একই গ্রামে আগুন পোহাতে দেখা যায় করিমন বেওয়া (৫৬), নার্গিস আক্তার (৪৫) ও ফিরোজা বেগমকে (৫০)। তাঁরা বলেন, ‘অ্যালা যে ঠাণ্ডা পইড়ছে, সোয়েটার, চাদর গাওত দিয়াও শীত কমে না। হামরা আর ঠাণ্ডা সহ্য করির পাওছো না। এই জন্য জঙ্গল জড়ে আগুন তাপোছি।’
গরম কাপড় ব্যবসায়ী সাজিদ ইসলাম বলেন, শীত জেঁকে বসায় গত দুইদিন থেকে বেড়েছে গরম কাপড়েরর বিক্রি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। এভাবে আরও কয়েকদিন শীত থাকলে পৌষের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।