1. Home
  2. জাতীয়
  3. চাঁদা না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদে তালা, তদন্ত কমিটি গঠন
চাঁদা না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদে তালা, তদন্ত কমিটি গঠন

চাঁদা না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদে তালা, তদন্ত কমিটি গঠন

0
  • 1 day ago,

নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য ইউনিয়নের নবনিযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বিএনপির নেতাকর্মীদের দুষছেন ইউনিয়নটির প্যানেল চেয়ারম্যান। তার দাবি, চাঁদা না দেওয়া তালা ঝুলিয়েছে তারা।

পরিষদে তালা ঝুলানোর ঘটনায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা। তারা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । বিষয়টি সামনে আসার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লাভলী বেগম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে গেজেটের মাধ্যমে আমাকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমি বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, চরমোনাইসহ সব দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলাম। ইউনিয়ন পরিষদের নতুন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ লিমন যোগদানের পর থেকে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা আমার কাছ থেকে বরাদ্দের নামে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। সবশেষ গত দুই সপ্তাহ আগে আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা।’

তিনি বলেন, ‘আমি চাঁদা দিতে অপারগতা জানালে গত বুধবার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মো. ইব্রাহিম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মো. শাহেদ উদ্দিন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদল নেতা আশরাফ উদ্দিন ও একই ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মো. ইব্রাহিম আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে নিষেধ করেন। ওই দিন আমি সেখান থেকে চলে আসলে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ লিমনের সঙ্গে যোগসাজশ করে ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেন বিএনপির নেতারা। এরপর থেকে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে দেননি তারা। বুধবারের (২৩ জুলাই) পর থেকে আজ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের কোনও দাফতারিক কার্যক্রম হয়নি।’

জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন,, ‘বিষয়টি জানার পর আমি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে পরিষদে গিয়ে তালা খুলে কার্যক্রম স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছি। যদি এই কাজে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কোনও সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এখনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে খবর নিচ্ছি।’

নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক