
দারুণ বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কম রানে আটকে দিয়েও লাভ হলো না বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ রানে হেরে গেল টাইগাররা। বোলারদের বোলিং কারিশমায় ইনিংসের শুরুতে একে একে উইকেট বিলাতে থাকেন প্রটিয়া ব্যাটাররা। টেনেটুনে ১১৩ রানের লজ্জাজনক পুঁজি পায় তারা।
জবাবে ব্যাট করতে নামেন টাইগাররা। তাদের সঙ্গে আশা বাঁধে সারা বাংলাদেশ। আজ আবার জিতবে। বাংলা ব্যাটারদের ছন্দময় আসা যাওয়ায় তিলেতিলে সে আশা ক্ষীণ হয়ে আসে।
শেষ ২ বলে দরকার ৬ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্ট্রাইকে। টানটান উত্তেজনা। কেশভ মহারাজের হাই ফুলটস বলে মাহমুদউল্লাহ সজোরে হাঁকালেনও। ছক্কা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু লংঅন বাউন্ডারিতে দৌড়ে এসে দারুণ এক ক্যাচ নেন এইডেন মার্করাম। হেরে যায় বাংলাদেশ।
তানজিদ হাসান তামিম ২ বাউন্ডারিতে বল সমান ৯ রান করে কাগিসো রাবাদার বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ খেলে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন। এরপর পাওয়ার প্লে দেখেশুনে কাটিয়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন দাস। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান তোলে বাংলাদেশ।
কিন্তু এরপর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে টাইগাররা। সপ্তম ওভারে এসে লিটন বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন। কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ তুলে দেন তিনি, ১৩ বলে করেন ৯।
পরের ওভারে অ্যানরিখ নরকিয়াকে হুক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৪ বলে করেন ৩ রান।
অধিনায়ক শান্ত দায়িত্ব নিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও উইকেট উপহার দিয়ে এসেছেন। নরকিয়ার শিকার হওয়ার আগে ২৩ বল খেলে এক ছক্কায় ১৪ রান করেন তিনি।
এর আগে তানজিম হাসান সাকিব-তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৩ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনরিখ ক্লাসেন ৪৪ বলে ৪৬ আর ডেভিড মিলার ৩৮ বল খেলে ২৯ রান না করলে আরও খারাপ অবস্থা হতো প্রোটিয়াদের।
২৩ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে টেনে তোলেন এই দুজন। পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তারা যোগ করেন বল সমান ৭৯।
তানজিম সাকিব ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। তাসকিন সমান ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি। রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।