
ট্রাম্পের গাজা প্রস্তাবে শর্তসাপেক্ষে রাজি হামাস
হামাস নেতৃত্ব, বিভিন্ন ফ্যাকশন ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে।
হামাস জানায়, যুদ্ধ শেষ করা, সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা, দখলনীতি প্রত্যাখ্যান এবং জনগণের বাস্তুচ্যুতি রোধে আরব, ইসলামি, আন্তর্জাতিক মহল ও ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
তারা সম্মত হয়েছে ট্রাম্পের বিনিময় প্রস্তাবের অধীনে জীবিত ও মৃত সব ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে—তবে ময়দানি শর্ত পূরণের পর। হামাস বলছে, তারা এ বিষয়ে অবিলম্বে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
গাজার প্রশাসন একটি ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটিক কমিটির হাতে জাতীয় ঐকমত্য এবং আরব/ইসলামি সমর্থনের ভিত্তিতে তুলে দিতে তারা সম্মত।
তবে গাজার ভবিষ্যৎ ও ফিলিস্তিনি অধিকারের মতো বিষয়গুলোতে আরও বিস্তৃত জাতীয় অবস্থান ও আন্তর্জাতিক আইনগত কাঠামোর প্রয়োজন হবে বলে জানায় হামাস।
হামাস আসলে কিসে সম্মত হয়েছে?
হামাসের সম্মতি:
বন্দিদের (বেঁচে থাকা ও নিহতদের) একসাথে মুক্তি, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী (তবে এটা প্রিজনার এক্সচেঞ্জ ফর্মুলা অনুসারে হবে)।
গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিবে, কিন্তু এটি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি প্রশাসনের (টেকনোক্র্যাট) হাতে হস্তান্তর করতে হবে, যা ফিলিস্তিনি জনগণের অনুমোদন পাবে (কোন বিদেশি শক্তির হাতে ক্ষমতা মেনে নেবে না)।
ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গাজা পুনর্গঠনের জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল দিয়ে তৈরি হবে (পুরোপুরি মেনেছে হামাস পুনর্নির্মাণকে সমর্থন করে)।
এখন কী হবে
হামাস নতুন এক দফা আলোচনার দাবি জানিয়েছে, যাতে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও অস্পষ্ট দিকগুলো স্পষ্ট করা যায়।
এখন সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে:
তিনি যদি হামাসের প্রতিক্রিয়াকে ইতিবাচক মনে করেন, তবে গণহত্যা বন্ধ ও শান্তির পথে অগ্রসর হতে পরিকল্পনা এগিয়ে যাবে।
আর যদি তিনি এটিকে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করেন (ইসরায়েলের চাপের কারণে), তবে নেতানিয়াহু আরও ভয়াবহ আগ্রাসনের সবুজ সংকেত পেয়ে যাবেন।
হামাসের জবাবের পর ইসরাইল জানিয়েছে, ট্রাম্প পরিকল্পনার প্রথম ধাপ—সব বন্দির মুক্তি—তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নের প্রস্তুতি চলছে। নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, যুদ্ধের সমাপ্তি ট্রাম্পের ভিশন অনুযায়ী ঘটাতে ইসরাইল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার টিমের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয়ে কাজ চালিয়ে যাবে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতি হামাসের প্রতিক্রিয়াকে কাতার ও মিশর স্বাগত জানিয়েছে। দেশদুটি বলেছে যে, তারা বাস্তবায়ন আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক