
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া দ্রুত শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্তে তীব্র সংঘাতের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য অবিলম্বে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন|
রোববার (২৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার সীমান্তে চলমান সংঘাত বন্ধ করে দুই দেশকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, দেশ দুটির নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে এবং উভয় পক্ষই দ্রুত শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে|
স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ জুলাই) স্কটল্যান্ডে নিজের ব্যক্তিগত গলফ রিসোর্ট সফরের শুরুতে ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি ও শেষ পর্যন্ত শান্তির লক্ষ্যে দ্রুত আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে”|
আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া থেকে আমদানি করা পণ্যে ৩৬ শতাংশ কর আরোপের কথা রয়েছে। তার আগে ট্রাম্পের এমন বিবৃতি কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে|
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইও যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে কাম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিকতার প্রমাণ দেখতে চায় থাইল্যান্ড| ’
গত ২৪ জুলাই সীমান্তে গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৩৩ জন সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন|
ট্রাম্প বলেন, সংঘর্ষ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার পর আলোচনায় ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন|
নিজের ট্রাম্প টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে খেলা শুরুর পর ট্রাম্প বলেন, তিনি কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাই প্রধানমন্ত্রী ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন|
তিনি আরও লেখেন, ‘যখন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন আমি উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় আছি| ’
এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এর আগে শনিবারই কাম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান নেয়|
উল্লেখ্য, এই সীমান্ত বিরোধের ইতিহাস এক শতাব্দীরও বেশি পুরোনো। ফরাসি ঔপনিবেশিক আমলের সময় সীমানা নির্ধারণ ঘিরে এ বিরোধের সূচনা হয়, যা এখনো পুরোপুরি নিরসন হয়নি|
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক