
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু?
ইন্দোনেশিয়া প্রথমবারের মতো তুর্কির বানানো আধুনিক KHAN ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দীর্ঘদিনের এক নিষেধাজ্ঞা ভেঙে দিল। সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল, সাধারণত আক্রমণাত্মক অস্ত্র হিসেবে দেখা হয় এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রাখা যাবেনা। ফলে এই ঘটনা জাকার্তার সামরিক কৌশলে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
কী ঘটছে?
১️. কৌশলগত অবস্থান
KHAN ক্ষেপণাস্ত্র রাখা হয়েছে পূর্ব কালিমান্তানে, ভবিষ্যৎ রাজধানী নুসান্তারার কাছে। লক্ষ্য স্পষ্ট—দেশের কেন্দ্রীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করা। এটি ‘প্যাসিভ ডিফেন্স’ থেকে সরে গিয়ে ‘প্রি-এম্পটিভ ডিটারেন্স’ বা আগাম প্রতিরোধমূলক অবস্থানকে ইঙ্গিত করছে।
২️. আঞ্চলিক ডোমিনো প্রভাব
এখন পর্যন্ত কোনো দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশের হাতে আধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না, শুধু ভিয়েতনামের পুরনো স্কাডের মতো স্নায়ুযুদ্ধ আমলের অস্ত্র ছাড়া।
ইন্দোনেশিয়ার এ পদক্ষেপ থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম বা ফিলিপাইনকেও অনুরূপ অস্ত্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে—ফলে শুরু হতে পারে আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা।
৩️. চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টর
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে অঞ্চলটি আগে থেকেই উত্তপ্ত। নতুন ক্ষেপণাস্ত্র এলে দক্ষিণ চীন সাগরের মতো সংঘাতময় এলাকায় উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।
সম্ভাব্য দুই ফলাফল:
স্থিতিশীলতা (Deterrence) — সঠিক ভারসাম্য বজায় থাকলে এ ধরনের অস্ত্র আগ্রাসনের খরচ বাড়িয়ে যুদ্ধ ঠেকাতে পারে।
বিপজ্জনক রেইস (Spiral) — প্রতিবেশীরা প্রতিযোগিতায় নামলে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক