
দুর্নীতির দায়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানিং দপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত পরিচালক) তুহিন মাহমুদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ড সদস্যদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমানের সই করা এক চিঠিতে জানায় কর্তৃপক্ষ।
সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খন্দকার নাসিরুদ্দিনের খুলনা শিপইয়ার্ড দুর্নীতি অভিযোগের তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অসহযোগিতা করেন তুহিন মাহমুদ। পাশাপাশি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রয়-প্রকল্পের টেন্ডারেও অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ।
গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়: ভিসির ভাতিজা বলে কথা!গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়: ভিসির ভাতিজা বলে কথা!
২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বশেমুরবিপ্রবির ৩৭তম রিজেন্ট বোর্ড সভার এক সিদ্ধান্তে সাবেক ভিসি নাসির উদ্দিনের সময়ে কেনা আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির বিল ভাউচার যথাযথ আছে কি-না তা পরীক্ষা এবং প্রস্তাবিত বিলের সত্যতা যাচাইয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে যায় এবং তাদের সহযোগিতার জন্য তুহিনকে সেখানে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেন ট্রেজারার। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশনা অমান্য করেন। এতে তদন্ত কমিটি চরম অবহেলা ও অসহযোগিতার শিকার হয় বলে অভিযোগ করেন কমিটির সদস্য ড. মো. ফরিদুল আলম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলমের অভিযোগ, তুহিন মাহমুদ উপাচার্যের অনুমোদন ছাড়াই বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি কেনার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই তিনি ক্রয় কার্যাদেশ সংক্রান্ত অফিস আদেশসহ বিভিন্ন ধরনের চিঠি জারি করেন।
তার এসব কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আইন পরিপন্থি বলে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা একমত পোষণ করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, “তুহিন মাহমুদ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এছাড়া, তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের যথার্থতা নিরূপণের জন্য কমিটিকে অসহযোগিতা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কিছু চিঠিপত্র ও অফিস আদেশ দেন। যার পরিপেক্ষিতে গত ১৯ মার্চ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করি।”
এ বিষয়ে জানতে সাময়িক বহিষ্কৃত প্রকল্প পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন মাহমুদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যাযনি।