1. Home
  2. বাণিজ্য
  3. নাবিকরা নৌ-বাণিজ্যের প্রাণ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নাবিকরা নৌ-বাণিজ্যের প্রাণ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নাবিকরা নৌ-বাণিজ্যের প্রাণ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

0
  • 2 years ago,

নাবিকরা আমাদের নৌ বাণিজ্যের প্রাণ- এ কথা উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে সমুদ্র খাতের ভিত্তি রচনা করেছিলেন। নাবিকরা বিশ্বের সমুদ্রজুড়ে পণ্যের নির্বিঘ্ন সরবরাহ নিশ্চিত করে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধি চালায়। শিল্পের স্টেকহোল্ডার হিসেবে সামনের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলোর জন্য নাবিকদের তৈরি করা আমাদের দায়িত্ব।

গতকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ মেরিন কমিউনিটি, সিঙ্গাপুর (বিএমসিএস) আয়োজিত ‘নেভিগেটিং সিফেয়ারার শর্টেজ- বাংলাদেশে’স প্রসপেক্ট ইন মেরিটাইম এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম এমপ্লয়ারস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন বেলাল আহমেদ। 

nagad

অনলাইনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রামের কমান্ডেন্ট ড. সাজিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেরিন কমিউনিটি সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট সারোয়ার দিতো। সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

সেমিনারে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন জাহাজের মালিক ও জাহাজের ব্যবস্থাপক, মেরিন ক্যাডেট ও নাবিক নিয়োগকারী বাংলাদেশি বিভিন্ন এজেন্সি, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সিঙ্গাপুর মেরিটাইম অফিসার্স ইউনিয়ন, সিঙ্গাপুর শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন মেরিন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এতে বাংলাদেশের মেরিটাইম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সম্ভাবনা, জাহাজে অধিকসংখ্যক বাংলাদেশের মেরিনার নিয়োগ ও নতুন কর্মক্ষেত্র বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হয়। 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আমাদের অর্থনীতির জন্য বছরে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা লক্ষ্য। স্বায়ত্বশাসিত জাহাজ এবং শূন্য-কার্বন জ্বালানি প্রবর্তনের মাধ্যমে সামুদ্রিক শিল্প দ্রুত বিকশিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেরিটাইম এডুকেশন এবং সিমুলেটরভিত্তিক প্রশিক্ষণ চালুর মাধ্যমে এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলছি। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর স্বপ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের দেশের সামুদ্রিক শিক্ষাকে একবিংশ শতাব্দীতে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।