
নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের সেন্ট্রাল ম্যানহাটানে গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও রয়েছেন। নিহত একমাত্র পুলিশ সদস্য বাংলাদেশি অভিবাসী বলে জানিয়েছেন সিটি পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ। খবর আল-জাজিরার।
ঘটনার পরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট দিয়ে নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস জানান, একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘আঘাত’ করা হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মেয়র। মেয়র অ্যাডামস তাকে ‘অফিসার ইসলাম’বলে উল্লেখ করেন।
এদিন গভীর রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জেসিকা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যা জেনেছি, নজরদারি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ৫১তম এবং ৫২তম রাস্তার মাঝামাঝি পার্ক অ্যাভিনিউতে একটি কালো রঙের ডাবল পার্ক করা বিএমডব্লিউ থেকে একজন পুরুষ বেরিয়ে আসছেন, তার ডান হাতে একটি এম৪ রাইফেল রয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে বন্দুকধারী লবিতে প্রবেশ করে, ডানদিকে ঘুরাঘরি করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে একজন নিউ ইয়র্ক পুলিশ অফিসারের ওপর গুলি চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর লোকটি ৩৩তম তলায় যাওয়ার আগে নিচতলায় দুজনকে গুলি করে হত্যা করে, যার মধ্যে একজন নারী এবং একজন নিরাপত্তা অফিসারও রয়েছেন। এরপর তিনি আরেকজন পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন’।
জেসিকা বলেন, ‘বন্দুকধারীর নাম শেন তামুরা। তিনি ২৭ বছর বয়সি। তার ঠিকানা লাস ভেগাসের বলে জানা গেছে। তবে তিনি কী উদ্দেশে এসব করেছেন তা এখনও তদন্তাধীন’।
নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন ও তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
যদিও নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র পরবর্তী সময় বলেন, তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত কিংবা অস্বীকার—কোনোটাই করতে পারছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানান, একটি অফিস ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আমি তখন পাশেই ছিলাম। তিনি (বন্দুকধারী) একের পর এক ফ্লোরে ঘুরছিলেন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানান, ঘটনাটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকস্টোন ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির একটি কার্যালয়ে ঘটেছে।
ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স জড়ো করা হয়েছে। আকাশে হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিক ও উৎসুক জনতাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
ম্যানহাটানের ওই এলাকায় বেশকিছু পাঁচ তারকা হোটেল এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর রয়েছে।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক