
নেইলপলিশ লাগানো অবস্থায় ওযু ও নামাজ
সাজসজ্জার অংশ হিসেবে ইসলামে নেইলপলিশ ব্যবহার করা জায়েজ। তবে নেইলপলিশ যদি নখের ওপর এমন প্রলেপ তৈরি করে যা পানির জন্য প্রতিবন্ধক হয়, মূল চামড়ায় বা নখে পানি না পৌঁছে, তাহলে নেইলপলিশ লাগানো অবস্থায় অজু শুদ্ধ হবে না। অজু শুদ্ধ না হলে নামাজও হবে না। নামাজ পড়ার জন্য নেইলপলিশ রিমুভ করে অজু করতে হবে।
কারণ অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য অজুর অঙ্গসমূহের প্রতিটি অংশে পানি পৌঁছানো জরুরি। অজুর মধ্যে ধোয়া আবশ্যক— এমন অঙ্গসমূহের চুল পরিমাণ শুকনো থাকলেও অজু শুদ্ধ হয় না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, এক সফরে রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে রয়ে গিয়েছিলেন। আমরা আসরের নামাজ শুরু করতে দেরি করে ফেলেছিলাম। তিনি যখন আমাদের কাছে পৌঁছলেন, আমরা অজু করছিলাম এবং তাড়াহুড়ার কারণে আমাদের পা মাসেহ করার মত হালকাভাবে ধুয়ে নিচ্ছিলাম। তখন রাসুল (সা.) উচ্চৈস্বরে বললেন, ‘পায়ের গোড়ালির জন্য জাহান্নামের শস্তি রয়েছে।’ দুবার অথবা তিনবার তিনি এ কথা বললেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, অজুতে যেসব অঙ্গ ধোয়া আবশ্যক, সেসব অঙ্গের সামান্যতম অংশেও যদি পানি না পৌঁছে, তবে অজু শুদ্ধ হয় না। আর নেইলপলিশ ব্যবহার করলে যেহেতু নখে পানি পৌঁছে না, তাই নেইলপলিশ থাকাবস্থায় অজু করলে অজু শুদ্ধ হবে না।
কেউ যদি অজু করে নেইলপলিশ লাগায়, তাহলে যতোক্ষণ অজু থাকবে, ততোক্ষণ নেইলপলিশ লাগানো অবস্থায় নামাজ পড়তে পারবে, এতে কোনো সমস্যা নেই।
মেহেদির মতো যেসব রঙ চামড়া বা নখের ওপর পানির জন্য প্রতিবন্ধক আলাদা প্রলেপ তৈরি করে না, ওই সব রঙ লাগানো অবস্থায় অজু শুদ্ধ হবে। সুযোগ থাকলে সাজসজ্জায় এ রকম রঙই ব্যবহার করা উচিত, তাহলে অজুর জন্য বার বার ওঠানোর ঝামেলা করতে হবে না। কোনো কারণে নেইলপলিশ রিমুভ করার সময় সুযোগ না পাওয়া গেলে নামাজ ছুটে যাওয়ার আশংকাও থাকবে না।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক