
ফুটপাতের জায়গা দখল করে ব্যবসা চালালে ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। মিরপুর ৬০ ফিট রাস্তার চলমান উন্নয়নকাজ পরিদর্শন শেষে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালালে সংশ্লিষ্ট দোকানের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে এবং দোকান সিলগালা করা হবে।’
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার একটি মিরপুর ৬০ ফিট। আরেকটি মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরার দিয়াবাড়ী রাস্তা। অব্যবস্থাপনার কারণে দীর্ঘদিন এ রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বেশির ভাগ বড় রাস্তায় চললে মনে হতো কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত পথে চলছি। এক মাস আগেও এ দুটি রাস্তা যারা ব্যবহার করেছেন তারা অনেক কষ্ট করেছেন। অনেকে অসুস্থ হয়েছেন, ব্যথা পেয়েছেন, অনেকের গাড়ি ভেঙেছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর পুরো টিমকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি রাস্তা দুটি এ মাসে অর্থাৎ রোজার মধ্যেই সংস্কার করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেব। এরই মধ্যে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরার দিয়াবাড়ী রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ঈদের আগেই ৬০ ফিট রাস্তার কাজ শেষ করে জনগণের চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে।’
কাজ করতে গিয়ে বেশকিছু সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান ডিএনসিসি প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘৬০ ফিটের আটটি পয়েন্টে রাস্তার পাশে বাড়ির মালিক আমাদের ফুটপাত করতে দিচ্ছেন না। আমাদের কর্মীদের কনস্ট্রাকশন করতে দিচ্ছেন না। কোর্টের রায়ের ভয় দেখাচ্ছেন। কোনো ধরনের সহযোগিতা করছেন না। অবৈধভাবে অনেকে দোকান দিয়ে রেখেছেন, ময়লা ফেলে রেখেছেন।’
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি ফুটপাত দখল। অনেক গ্যারেজ মালিক ফুটপাত ও রাস্তা ব্যবহার করে মোটারসাইকেল ও গাড়ি ওয়াশ করছেন। অনেক দোকানদার দোকানের সীমানার বাইরে গিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করছেন। তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা ফুটপাত দখলমুক্ত করে দিন। ঈদের পরে আমরা অভিযান পরিচালনা করব, যেসব দোকানদার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করবেন তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দিব, দোকান সিলগালা করে দিব।’
পরিদর্শনে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবিএম সামসুল আলম প্রমুখ।
নিউজ টুডে বিডি/ডেস্ক