
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে শহরের গুনগাছতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় উচ্ছেদ কাজে ব্যবহৃত স্কেভেটর।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকায় নদীর অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটি। মূলত এই উচ্ছেদের খবরে সেখানে জড়ো হয় দখলদাররা। পরে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। সবশেষ পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের পশ্চিম পাশে অবস্থিত বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট একসময় ছিল প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এই ঘাট ব্যবহার করে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত চলাচল করতো জাহাজ ও যাত্রীবাহী লঞ্চ। বর্তমানে এসবই কেবল স্মৃতি। এখানে প্রায় ৩০০ একরের বেশি প্যারাবন ধ্বংস করে ও নদী ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে দুই শতাধিক পাকা-সেমিপাকা ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা। শুধু কস্তুরাঘাট নয়, নুনিয়াছাটা থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁকখালী নদী দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে সরকার। পরে দ্বিতীয় দিন উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে মঙ্গলবার নদীর উচ্ছেদ অভিযানে বাধা ও হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এসআই মো. জাকির হোছাইন বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে বৃহস্পতিবার আবারও উচ্ছেদে নামে প্রশাসন, সেদিনও সকাল থেকে নদীর দুটি অংশের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করেন দখলদাররা।
কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুটি মামলার হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬০০ জনকে।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক