
তুরাগে এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর ভাড়া বাসা থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ও স্বর্ণালংকারসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাসার মালিক ওই ভাড়াটিয়ার ফ্ল্যাটের চাবি নেওয়ার পর এই চুরির ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর তুরাগ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বাসার মালিক ও তার ছেলেকে সন্দেহ করছেন ভাড়াটিয়া রাজু আহমেদ। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা হলে বাসার মালিকের ছেলেকে ধরে নিয়ে গেলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, রাজু আহমেদ মিরপুরে ব্যবসা করেন। আর তুরাগের দিয়াবাড়ি তারারটেক এলাকার আক্কাস আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়া রাজু আহমেদ জানান, গত আড়াই বছর ধরে আক্কাস আলীর বাড়ির চতুর্থ তলায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন তিনি। সম্প্রতি তিনি বাসাটি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র বাসা নিয়েছেন, আগামী মাসে সেখানে উঠবেন।
তিনি আরও জানান, গত ১৫ আগস্ট বাসার মালিকের ছেলে ফয়সাল এসে জানায় ফ্ল্যাটটি অন্য কেউ ভাড়া নিতে আসলে তাদের রুম দেখাতে হবে। এজন্য চাবি দরকার। তার কথামতো রাজু তাকে একটা চাবি দেন। এরই মাঝে গত ২২ আগস্ট তিনি জরুরি কাজে বের হয়ে যান। তার স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে মাদরাসায় চলে যায়। তারা রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরে আসলে দেখতে পান তাদের রুমের তালা ভাঙা। বাসার রুমে থাকা ওয়ারড্রবের ড্রয়ার খোলা। কাপড়-চোপড় অগোছালোভাবে পড়ে আছে। তখন বুঝতে পারেন তার বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে।
রাজু জানান, এরপর তিনি পুরো ফ্ল্যাট তল্লাশি করে দেখতে পান বাসায় রাখা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ, নগদ ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, একটি সাউন্ড বক্স, একটি হাতঘড়ি ও সাত ভরি রুপার নুপুর (মূল্য ১৮০০ টাকা) নিয়ে গেছে।
ওই গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জানান, সেদিনই তিনি বিষয়টি বাসার মালিককে জানালেও তারা কোনো গুরুত্ব দেয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি তুরাগ থানায় মামলা করলে বাসার মালিকের এক ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পরে আবার তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
রাজু আহমেদ জানান, অল্প অল্প করে ব্যবসার টাকা থেকে জমিয়েছিলাম হজে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমার সব শেষ করে দিলো। এ চুরি বাসার মালিকের ছেলে ছাড়া সম্ভব নয়। কারণ বাহিরের লোক আসলে এমন চুরি হওয়ার কথা নয়। চাবি তালা অক্ষত ছিল।
বিষয়টি নিয়ে ডিএমপির তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার বলেন, মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ভুক্তভোগী বাড়িওয়ালার ছেলেকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আপাদত তেমন কোনো প্রমান না থাকায় ছেড়ে দিয়েছি। তবে একেবারেই নজরদারির বাহিরে রাখিনি। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।