
ব্রিটিশদের হাত ধরেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের জন্ম
গাজায় সম্ভাব্য “আন্তর্জাতিক ট্রানজিশনাল অথরিটি” গঠনের আলোচনার মাঝে, ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়—ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত আজকের অবস্থায় পৌঁছাত না, যদি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক রাজনীতি মধ্যপ্রাচ্যে এমনভাবে হস্তক্ষেপ না করত।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
১৯১৫, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ: যুক্তরাজ্য আরব নেতাদের উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে উসকানি দেয় এবং প্রতিশ্রুতি দেয়—ফিলিস্তিনসহ বৃহৎ এক স্বাধীন আরব রাষ্ট্র গঠন করা হবে।
১৯১৬: গোপন সাইক্স-পিকো চুক্তি (যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স), যেখানে উসমানীয় ভূখণ্ড নিজেদের মধ্যে ভাগ করার পরিকল্পনা হয়। আরবদের প্রতি প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা।
১৯১৭: জায়নিস্ট লবিং ও রথসচাইল্ড পরিবারের প্রভাবে ব্যালফোর ঘোষণা প্রকাশ করে ব্রিটেন। সেখানে বলা হয়, ফিলিস্তিনে “ইহুদি জনগণের জন্য জাতীয় আবাসভূমি” গঠনে সমর্থন দেবে লন্ডন। তখন ইহুদিদের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ১০%-এরও কম। আরবরা আবার প্রতারিত হলো।
১৯২০-১৯৪৮, ম্যান্ডেট ফর প্যালেস্টাইন: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন ইহুদিদের জন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রস্তুতি নেয়—জিউইশ এজেন্সি, হাগানাহ (আধাসামরিক সংগঠন) গড়ে ওঠে। কিন্তু সমপর্যায়ের কোনো আরব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।
ব্রিটেন ইহুদি অভিবাসন ও জমি ক্রয় সহজ করে দেয়। ১৯৩৯ সালের মধ্যে ইহুদিরা জনসংখ্যার প্রায় ৩০% হয়ে যায়। জমি ও সম্পদের দ্বন্দ্বে ১৯৩৬-১৯৩৯ সালের আরব বিদ্রোহ শুরু হয়, যা ব্রিটিশরা কঠোরভাবে দমন করে।
১৯৩৯ সালে ব্রিটিশরা ইহুদি অভিবাসনে সীমা আনে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জায়নিস্টরা ব্রিটিশ সেনা ও কূটনীতিকদের উপর হামলা চালায়।
১৯৪৮ সালের মে মাসে ব্রিটেন ফিলিস্তিন থেকে সরে দাঁড়ায়, আর ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষিত হয়।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক