1. Home
  2. শিক্ষা
  3. ক্যাম্পাস
  4. ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীদের প্রচারণা, ভোটারদের অসন্তোষ
ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীদের প্রচারণা, ভোটারদের অসন্তোষ

ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীদের প্রচারণা, ভোটারদের অসন্তোষ

0
  • 7 hours ago,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। তবে ভোটগ্রহণ শুরু হবার পরেও কিছু কিছু প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। এতে লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, ফলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রগুলোতে এই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, কার্জন হল, উদয়ন স্কুলসহ অন্যান্য কেন্দ্রের সামনে ভিড় করছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থক৷ তারা ভোটারদের হাতে লিফলেট ও নিজ দলীয় প্রার্থীদের তালিকা তুলে দিচ্ছেন। এ কারনে কেন্দ্রগুলোর প্রবেশমুখে ভিড় জমা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে সমস্যা হচ্ছে৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো প্রকার প্রচারণা চালানো যাবে না৷ তাছাড়া, ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার পর থেকেই সকল ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন।

কার্জন হল এলাকায় ছাত্রদল-সমর্থিত ফজলুল হক মুসলিম হল ইউনিটের নেতাকর্মীদের লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চাইতে দেখা যায়। একইভাবে সিনেট ভবন কেন্দ্রের সামনেও কয়েকজন প্রার্থী ভোটারদের কার্ড ও লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছিলেন। পরিস্থিতি দেখে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী কেন্দ্রের একশ মিটারের মধ্যে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নিয়ম ভঙ্গ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ডাকসুর মানবসেবা সম্পাদক এ বি জোবায়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশমুখে অভিযোগ জানাতে এসে বলেন, ছাত্রদল এখানে কৃত্রিম জটলা তৈরি করে ডাকসুর ফুল প্যানেলের লিস্ট ধরিয়ে দিচ্ছে৷ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় আমি এটার প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমার সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়৷

তাছাড়া, পর্যবেক্ষক হিসেবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফাও শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সামনের পরিস্থিতি দেখে এর প্রতিবাদ জানান। 

জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফারুক শাহ বলেন, আমরা প্রার্থীদের সরিয়ে দিচ্ছি। জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। আর এমন জটলা হবে না। 

এদিকে, দিনের শুরু থেকেই ভোটকেন্দ্রে শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েক মাস ধরে প্রচার-প্রচারণার কারণে ক্যাম্পাসজুড়ে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, ভোটের দিনও তার ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা গেছে।

নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক