
বাংলাদেশে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পর ১৮ কোটি মানুষের মনে আশা জেগেছিল, একটি মানসম্মত রাজনীতির পথে এগোবে বাংলাদেশ। পরিতাপের বিষয় হলো, ৫ মাস যেতে না যেতেই সে আশায় কনফিউশন তৈরি হয়েছে। জাতি এখন কনফিউজড!
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে একটি মানসম্মত রাজনীতির নেতৃত্ব সৃষ্ট্রির অভিপ্রায় নিয়ে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন। কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দেশে ইতিবাচক রাজনীতির ধারা এ জাতি কিছুটা হলেও দেখবে। কিন্তু এরমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে পুরনো োজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে বড় দলগুলো সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
অভিযোগ একেবারে অমূলক নয়। দেশে অভ্যুত্থান হয়েছে ছাত্রদের হাত ধরে। ছাত্ররা নতুন দল করলে সেটিকে ইতিবাচক ধারায় বিবেচনা করা উচিৎ। অথচ তা না করে তাদের বিরোধিতার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
আর দেশে পরমত শ্রদ্ধা, রাজনীতিতে মাস্তান শ্রেণির পরিবর্তে শিক্ষিত শ্রেশির উত্থান, সুসশাসন প্রতিষ্ঠা, রাজনীতির প্রভাবমুক্ত প্রশাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রভৃতি নিশ্চিত না হলে মানসম্মত রাজনীতির আশা আঁধারেই থেকে যাবে।
নিউচটুডেবিডি/সম্পাদকীয়, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫