
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তি যুদ্ধ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে, তবে এর ফলে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে ইউরোপ।
চীন সম্প্রতি ১৭টির মধ্যে ১২টি “বিরল খণিজ” ধাতুর রপ্তানিতে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে “জাতীয় নিরাপত্তা”র কারণ দেখিয়ে। এই ধাতুগুলো ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাংক, সাবমেরিনসহ প্রতিরক্ষা খাতে অপরিহার্য।
শুধু ইরান–ইসরায়েল সংঘাতের প্রথম সাত দিনেই ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময়ে আনুমানিক ১.৬ থেকে ১৬ মেট্রিক টন বিরল খণিজ ধাতু ব্যবহার বা ধ্বংস হয়েছে বলে ধারণা। ইউক্রেনের ড্রোন যুদ্ধক্ষমতাও প্রায় পুরোপুরি চীনা ইলেকট্রনিক ও চৌম্বক যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভরশীল।
ইউরোপ এখন দ্বৈত নির্ভরতার ফাঁদে আটকে গেছে—একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল প্রযুক্তি, অন্যদিকে চীনের খনিজ প্রক্রিয়াজাত শিল্প। ফলে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো ইউরোপের মূল শিল্পগুলোতেও চীনের দখল বাড়ছে। অথচ ইউরোপ নিজের খনিজ সম্পদ আহরণে রাজনৈতিক ও পরিবেশগত বাধায় জর্জরিত।
মূল কথা হলো, বিশ্বের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় ইউরোপ এখন পিছিয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যেখানে ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে, ইউরোপ সেখানে কার্যত নিষ্ক্রিয়। দ্রুত উদ্যোগ না নিলে ইউরোপ এক বা উভয় পরাশক্তির কাছে স্থায়ীভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক