
যেভাবে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হবে গাজা যুদ্ধবিরতি
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর): দুপুর ১২টা (কায়রো সময়) চুক্তির আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বিকেল ৫টায় এবং পূর্ণাঙ্গ সরকার সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক করবে চুক্তির আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের জন্য।
অনুমোদনের পর হামাসের হাতে থাকা জীবিত সব জিম্মিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে, যা কোনো প্রকাশ্য আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সম্পন্ন হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী “ইয়েলো লাইন” পর্যন্ত পিছু হটবে। এতে ইসরায়েল প্রায় ৫৩ শতাংশ গাজা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর): এই দিন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পুনঃবিন্যাস সম্পন্ন হবে এবং তারা সম্পূর্ণভাবে “ইয়েলো লাইন”-এ অবস্থান নেবে।
শনিবার থেকে সোমবার (১১–১৩ অক্টোবর): এই সময়ের মধ্যেই জিম্মিদের মুক্তি প্রত্যাশিত। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, “সোমবারের মধ্যে সবাই ফিরে আসবে।” রবিবার ট্রাম্প ইসরায়েলে পৌঁছাবেন এবং ইসরাইলের সংসদে ভাষণ দেবেন।
একইসঙ্গে ইসরায়েল প্রায় ১,৯৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে—যাদের মধ্যে রয়েছে ১,৭০০ জন গাজার বাসিন্দা (যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক হয়েছিল) এবং ২৫০ জন আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি।
তবে এই চুক্তির আওতায় হামাসের “নুখবা ফোর্স”-এর সদস্য ও শীর্ষ কমান্ডাররা, বিশেষ করে মারওয়ান বারঘুতির মতো নেতারা অন্তর্ভুক্ত নন।
সোমবারের মধ্যে: সমস্ত জীবিত জিম্মি মুক্তি, ইসরায়েলি বাহিনীর পুনঃবিন্যাস, এবং ট্রাম্প পরিকল্পনার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্র: আল আরাবি টিভি, হোয়াইট হাউস ব্রিফিং, ট্রাম্পের অফিসিয়াল ঘোষণা।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক