
শেখ হাসিনার সরকার নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অবৈধ, বেআইনী ও অযাচিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার দাবালন জ্বালিয়ে দিয়েছে। যারাই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তাদের প্রতি প্রশাসনকে লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে জোরপূর্বক দেশত্যাগ ও ডেপুটি এর্টনী জেনারেল এমরান আহমেদ ভূইয়ার মার্কিন দুতাবাসে আশ্রয় গ্রহণ প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও আইনের শাসনের অবশিষ্ট কিছু নেই। বাংলাদেশ এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।
তিনি আজ (শনিবার) দুপুরে পল্টনস্থ আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবীতে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি লুটপাট অর্থপাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর গণতান্ত্রিক বিশ্বের বন্ধুরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা এ কারণে ক্ষুদ্ধ। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ করার জন্য দেশী বিদেশী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, সেগুলো বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যেই সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ড. ইউনূসের চরিত্রহননের অপচেষ্টা করছে। তাঁকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে খাটো করার অপচেষ্টা চলছে। কারণ একটাই, ব্যক্তিগত ক্রোধ। তাঁর বিরুদ্ধে আইন এমনভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে যেন তিনি একজন বড় অপরাধী।
মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আমিনুল ইসলাম রাজু, হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব নুরুল ইসলাম সিয়াম, আবদুর রহমান খোকন, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম সজিব, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ রুম্মান সরকার, আরিফ সরকার, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত প্রমুখ।
মিছিলটি পুরানা পল্টন থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, তোপখানা রোড, সচিবালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন মোড়, বিজয়নগর, বায়তুল মোকাররম হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি