1. Home
  2. বাংলাদেশ
  3. সহজ হলো এনজিওর নিবন্ধন
সহজ হলো এনজিওর নিবন্ধন

সহজ হলো এনজিওর নিবন্ধন

0
  • 3 hours ago,

নতুন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) অনুমোদনের প্রক্রিয়া সহজ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এনজিও অনুমোদনের সময় চার ভাগের এক ভাগ কমিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে প্রকল্প অনুমোদনও সহজ করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদনে এত দিন কোনো সময়সীমা ছিল না, এখন তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের সময়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

নতুন এনজিও অনুমোদনে এখন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে ৪৫ দিনের মধ্যে নিজেদের মতামত দিতে হবে। না দিলে এ দুটি বিভাগের কোনো আপত্তি নেই বলে ধরে নেওয়া হবে। এ ছাড়া নতুন কোনো এনজিও খোলার প্রস্তাব তদন্ত করবে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। গত ৩ মার্চ জারি করা এনজিও–বিষয়ক ব্যুরোর নতুন একটি পরিপত্রে এ কথা বলা হয়েছে।

নতুন পরিপত্রে বলা হয়েছে, এখন থেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে এনজিওর প্রস্তাব তদন্ত করতে হবে। এর মাধ্যমে হয়রানি কমে আসবে বলে মনে করছেন এনজিও–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২১ সালের জারি করা পরিপত্রে নতুন এনজিও অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে নিজেদের মতামত দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ওই পরিপত্র অনুযায়ী, এনজিওর প্রস্তাব তদন্ত করত দুটি গোয়েন্দা সংস্থা।

এনজিও–বিষয়ক ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এনজিওর প্রস্তাব এত দিন তদন্ত করত পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, তদন্তের নামে সংস্থা দুটি এনজিওর কর্মকর্তাদের হয়রানি করত। নতুন পরিপত্রে বলা হয়েছে, এখন থেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে এনজিওর প্রস্তাব তদন্ত করতে হবে। এর মাধ্যমে হয়রানি কমে আসবে বলে মনে করছেন এনজিও–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

গোয়েন্দা সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে কী উল্লেখ করবে, সেটি নির্দেশিকায় স্পষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেবে—এক. রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা; দুই, সামাজিক নিরাপত্তা; তিন. অন্যান্য বিষয়, যার মধ্যে থাকবে আয়কর সনদ ও বেতন–ভাতা।
এদিকে এনজিও অনুমোদনে সময় কমিয়ে আনার পাশাপাশি প্রকল্প অনুমোদনেও সময় কমানো হয়েছে। নতুন পরিপত্রে বলা হয়েছে, যেকোনো প্রকল্প প্রস্তাব এনজিও ব্যুরোতে জমা হওয়ার পর থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন ৪৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। আগের পরিপত্রে প্রকল্প অনুমোদনে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া ছিল না।

এনজিও ব্যুরোর পরিচালক (নিবন্ধন ও নিরীক্ষা) নাজমুল হোসাইন গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন পরিপত্র জারির ফলে এনজিওগুলোর নিবন্ধনের সময় কমে আসবে। নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সহজ হবে। মানুষের হয়রানি কমবে। তিনি আরও বলেন, বৈদেশিক অনুদান আইন, ২০১৬ সংশোধনের কাজ চলছে। পরিপত্রের নতুন বিষয়গুলো আইনে যুক্ত করা হবে। আইনটি পাস হলে তা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকবে।

আমাদের আরেকটি দীর্ঘদিনের দাবি আছে, যেটি এখনো পূরণ হয়নি। বৈদেশিক অনুদান আইন, ২০১৬-এর ১৪ নম্বর ধারাটি বাতিল করতে হবে। বিগত সরকার আইনে এই ধারা যুক্ত করেছে এনজিও-সংশ্লিষ্টদের হয়রানি করার জন্য, বাক্‌স্বাধীনতা হরণের জন্য।
সূত্র/কৃতজ্ঞতা: প্রথম আলো অনলাইন

নিউজ টুডে বিডি/ন্যাশনাল ডেস্ক