1. Home
  2. জাতীয়
  3. সারা দেশে ১১ দিনের ‘বিশেষ সতর্কতা’
সারা দেশে ১১ দিনের ‘বিশেষ সতর্কতা’

সারা দেশে ১১ দিনের ‘বিশেষ সতর্কতা’

0
  • 8 hours ago,

টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া  আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সংগঠনটির নেতাকর্মীরা দেশ-বিদেশে ছদ্মবেশে তৎপর রয়েছে। তারা গোপনে একত্রিত হয়ে সহিংসতা বা হামলার পরিকল্পনা করতে পারে—এমন আশঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারা দেশে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে।

পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) আশঙ্কা করছে, দলটি ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে কেন্দ্র করে অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে। দলটির কিছু নেতা ও কর্মী এ সময় সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, বিশৃঙ্খলা কিংবা ভাঙচুর চালাতে পারে বলেও ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এই প্রেক্ষাপটে  সোমবার (২৮ জুলাই) পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) দেশের বিভিন্ন পুলিশের ইউনিটে একটি বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে । চিঠিটি পাঠানো হয়েছে ডিএমপি কমিশনার, সিটি এসবি, বিভাগীয় উপ-পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম ও খুলনার স্পেশাল পুলিশ সুপারসহ দেশের সব জেলা পুলিশ সুপারের কাছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ঘিরে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো পয়লা জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘এই সময়ে বিতর্কিত ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো দেশব্যাপী অনলাইন ও অফলাইনে উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে বা উসকানি সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টাও হতে পারে।’

এমন পরিস্থিতিতে দেশের সকল ইউনিটকে নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনের ওপর নজরদারি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার এবং সাইবার গোয়েন্দা কার্যক্রম তীব্র করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ অভিযান চালাতে বলা হয়েছে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসসহ সন্দেহভাজন সব যানবাহনে তল্লাশি, বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন, বিমানবন্দরের আশপাশে নজরদারি এবং মোবাইল পেট্রল বাড়াতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, সাইবার পেট্রলিং এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদারের নির্দেশও রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, আওয়ামী লীগের কিছু যুব ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা মাঠে না থাকলেও অনলাইনে ‘ভার্চুয়াল স্কোয়াড’ গড়ে তুলেছে, যারা ফেসবুক, টেলিগ্রাম ও ইউটিউবভিত্তিক চ্যানেল চালিয়ে সামাজিক অস্থিরতা ছড়ানোর কাজ করছে।

এসব বিষয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। দেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে এনে রাজনৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। যারা দেশে-বিদেশে বসে পরিস্থিতি অশান্ত করার পরিকল্পনায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক