
সিরিয়াকে বিভক্তির পশ্চিমা নীল-নকশা
দ্য ক্র্যাডল–এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে, ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের মধ্যে একটি “কংক্রিট ব্লুপ্রিন্ট” কার্যকর করা হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াকে টুকরো টুকরো করা।
এই পরিকল্পনা গঠিত হয়েছে “সাম্প্রদায়িক কৌশল” এবং বিদেশি সামরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে,— যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে নেতানিয়াহু সরকারকে।
একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে:
“ইসরায়েল সিরিয়ার সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত বিভাজনকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ও সামরিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।
এর মাধ্যমে দেশটিকে বিভক্ত করা, এবং দুটি কৌশলগত করিডোর খোলা তাদের লক্ষ্য—একটি পূর্বাঞ্চলীয় করিডোর সুয়েইদা থেকে হাসাকা পর্যন্ত এবং অপরটি পশ্চিমাঞ্চলীয় করিডোর যা ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত।
এতে ইসরায়েল একাধিক ফ্রন্টে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে এবং তুরস্ককেও অভ্যন্তর থেকে ঘিরে ফেলতে সক্ষম হবে।”
ব্লুপ্রিন্টে যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
ফলস ফ্ল্যাগ হামলা আয়োজন: ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের চার্চ, মঠ ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনায় হামলা সাজিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন বাড়ানো এবং পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসনের অজুহাত তৈরি।
ভ্রান্ত তথ্য প্রচারণা: সংখ্যালঘুদের আতঙ্কিত করতে ও কৃত্রিম সংখ্যালঘু যোদ্ধা গ্রুপ তৈরির প্রচেষ্টা।
অর্থায়ন: ওয়াশিংটন-ভিত্তিক লবিস্ট প্রতিষ্ঠান Tiger Hill Partners–এর মাধ্যমে এক সংস্থা “Foundation for the Development of Western Syria”-কে অন্তত ১ মিলিয়ন ডলার সরবরাহ।
এ সংস্থাটি আলাওয়ি, খ্রিস্টান, দ্রুজ ও কুর্দিদের পক্ষে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কাছে তদবির করে।
✦ ডায়াসপোরা নেটওয়ার্ক: মার্কিন মাটিতে আলাওয়ি-দ্রুজ প্রবাসী নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা এবং ইসরায়েলি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ।
বিদেশি যোদ্ধা ঢোকানোর পরিকল্পনা: হোমস ও উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ২,৫০০ বিদেশি যোদ্ধা প্রবেশ করানোর পরিকল্পনা (যা আপাতত আটকে গেছে)।
সার্বিকভাবে এই তদন্তে বলা হচ্ছে, সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা ভাঙতে এবং অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলের প্রভাব বিস্তার করতে একটি সুনির্দিষ্ট ও বহুমুখী প্রকল্প এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে আল-হিজরি মিলিশিয়া আইন আল-যামান ও সাহওয়া আল-বালাতের দ্রুজ ধর্মীয় কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালায়। এসময় তারা সিরিয়াপন্থী দ্রুজ আধ্যাত্মিক নেতা শেখ ইউসুফ আল-জারবুয়া এবং শেখ হামুদ আল-হানাওয়িকে আক্রমণ করে। ঘটনার পর, হামলাকারীরা ইসরায়েলপন্থী আল-হিজরির ছবি টানিয়ে দেয় এবং ভবনের ওপর ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলন করে।
সুওয়াইদাতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে দ্রুজ মিলিশিয়াদের দেখা গেছে, তারা তাদের সামরিক জ্যাকেটে ইসরায়েলি পতাকার ব্যাজ/প্যাচ পরেছিলেন।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক