1. Home
  2. বিশ্ব
  3. অবরুদ্ধ গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১,৮১৯
অবরুদ্ধ গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১,৮১৯

অবরুদ্ধ গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১,৮১৯

0
  • 1 year ago,


ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩১,৮১৯ জন নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গাজা উপত্যকায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কমপক্ষে আরও ৯৩ জন নিহত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে মোট ৩১,৮১৯ জনে দাঁড়াল।

এদিকে, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ৭৩,৯৩৪ জন আহত হয়েছে। যথাযথ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে আহত প্রায় ৭০ হাজার শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। আর নিখোঁজ ও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে আরও অনেকে।

চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যেই গাজার বাসিন্দারা রমজান পালন করছেন। যুদ্ধবিরতির জন্য বিভিন্ন পক্ষ নানা কথা বললেও তার বাস্তবায়ন ঘটেনি।

এদিকে ইসরায়েলি সৈন্যরা উত্তর, মধ্য এবং পূর্ব গাজার বেশিরভাগ অঞ্চল ঘিরে ফেলেছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে বসবাসরত পরিবারগুলো বেশ কয়েকবার তাদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। অনেকেই এখন দক্ষিণে রাফাহ সীমান্তে আটকে আছে। রাফাহতেও ইসরায়েল হামলা করছে।

এছাড়া বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় অনেক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে যারা দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যাচ্ছে তারা প্রায়শই উপত্যকাটির অন্যান্য অংশে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছে না। বিশেষ করে ব্ল্যাকআউটের সময় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় খাবার ও পানির অভাবে ক্ষুধার্ত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, “গাজার এই পরিস্থিতিকে ভয়ংকর।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে সংস্থাটির প্রধান বলেছেন, “গাজার উত্তরাঞ্চলে হাসপাতালগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। খাবারের অভাবে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। শিশুরা গুরুতর অপুষ্টিজনিত অবস্থায় রয়েছে।”

বিবিসি জানিয়েছে, গাজার উত্তরাংশে তিন লাখ মানুষ সামান্য খাবার ও পরিষ্কার পানি নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।

ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক বলেছেন, “আমরা যে শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করেছিলাম তাই ঘটছে, অপুষ্টি গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাচ্ছে।”