
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর ভারতের সিকিম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। এতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের দেড় হাজারেরও বেশি ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে উপজেলার কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী ও নোহালী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কয়েক শ পরিবার।
গতকাল সোমবার কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও আজ সকাল থেকে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবোর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।
তবে আজ সকালে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে আজ সকালে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও এর উচ্চতা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
তবে পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি তিস্তা পারের পানিবন্দী মানুষের। প্রায় দুই দিন ধরে পানিবন্দী থাকায় রান্না করতে পারছেন না ঠিকমতো, গবাদি পশু নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে।
পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে উপজেলার লক্ষীটারী, কোলকোন্দ ও নোহালী—এই তিন ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কয়েক শ পরিবারের বসতঘর। ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর চিলাখাল মধ্যপাড়া ঈদগাহ মাঠে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে চিলাখাল সূর্যমুখী ক্বারী মাদরাসা, চিলাখাল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গতকাল পরিদর্শন শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুব রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখে গেলাম। এখান থেকে গিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে বসে কথা বলে এর দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।