
ইসরায়েলের গাজা সিটি দখল পরিকল্পনা: হামাসের পালটা আক্রমণ
বাহিনী মোতায়েন:
গাজায় ৫টি ডিভিশন (এর মধ্যে ৩টি নিয়মিত) অভিযান চালাচ্ছে।
পর্যায় ১: শহরের প্রান্তে হামাসের টানেলগুলোতে আক্রমণ চলছে।
মূল লক্ষ্য:
– গাজা সিটিকে ঘিরে ফেলা।
– শহরে প্রবেশ করে হামাসের শক্ত ঘাঁটি দখল করা।
– যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যেসব এলাকা এখনো অক্ষত রয়েছে, সেখানে প্রবেশ।
নাগরিক পরিস্থিতি: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায় ৮ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন এনজিওর সহায়তায় ত্রাণকেন্দ্র ও ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে।
সময়সীমা:
পুরো অভিযান ৪–৬ মাস চলতে পারে।
রিজার্ভ: নতুন করে ৬০ হাজার সেনা ডাকা হয়েছে এবং আগে থেকেই মোতায়েন থাকা ৭০ হাজার সেনার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে আজ বুধবার সকালে, খান ইউনিসে, ইজ্রাইলি সেনাদের নতুন স্থাপিত একটি সামরিক ঘাটিতে হানা দিয়েছে হামাসের মুহাজিদরা। প্রায় ১৫ সদস্যের (এক পদাতিক ব্যাটেলিয়ন) কাসসাম যোদ্ধারা এই অপারেশন পরিচালনা করেন।
কাসসাম যোদ্ধারা বেশ কয়েকটি Merkava-4 ট্যাংক’কে বিস্ফোরক ডিভাইস, গেরিলা একশান বোম্ব ও “Al-Yassin 105” শেল দ্বারা টার্গেট করেন।
ইজ্রাইলি সেনা অবস্থিত কয়েকটি বিল্ডিংয়েও ৬টি এন্টি-পার্সোনেল ও এন্টি-ফর্টিফাইড শেল ও গান ফায়ারিং করে টার্গেট করেন।
বেশ কয়েকজন যোদ্ধা কয়েকটি বিল্ডিংয়ে রেইড দেন এবং জিরো ডিস্ট্যান্স থেকে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীদেরকে গান ফায়ারিং ও হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করেন।
১জন কাসসাম স্নাইপার Merkava-4 ট্যাংকের কমান্ডারকে সরাসরি স্নাইপিং করে আহত করতে সক্ষম হয়েছেন।
রেস্কিউ ফোর্সের আগমন ঠেকাতে এবং যোদ্ধারা নিরাপদে ফিরে আসতে অপারেশনাল সাইটের আশেপাশে মর্টার শেলিং করা হয়।
পরবর্তীতে, রেস্কিউ ফোর্স আসার পর এক ফিদায়ীন যোদ্ধা নিজেকে সহ বিস্ফোরণ ঘটান ইজ্রাইলি সন্ত্রাসীদের মাঝে।
এই অপারেশন ঘন্টাখানেক ধরে পরিচালিত হয়। ৩ টি হেলিকপ্টার এসে হতাহত সেনাদের নিয়ে যায়।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক