
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কর্মস্থলে যাওয়া আসার সময় রাস্তা বন্ধ রাখার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আইজিপি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে (জিএমপি কমিশনার) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভারতে আটককৃত পুলিশের ওই জৈষ্ঠ কর্মকর্তা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনা হবে। বিজিবি-বিএসএফের মধ্যেও আসামি বিনিময়ের একটা চুক্তি আছে এর মাধ্যমেও আনার চেষ্টা করা হবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় তিনি একথা বলেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মো. নাজমুল করিম খান থাকেন ঢাকায়। প্রতিদিন গুলশানের বাসা থেকে আসেন গাজীপুরে। ফেরেনও একইভাবে। যাওয়ার সময় টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় উড়ালসড়ককে একমুখী করে দেওয়া হয়। এ সময় গাজীপুর থেকে ঢাকামুখী লেন বন্ধ হয়ে যায়। কমিশনারের ফেরার সময় একইভাবে একমুখী করে দেওয়া হয় গাজীপুরের ভোগড়া এলাকার উড়ালসড়ক। তখন গাজীপুরমুখী চলাচল বন্ধ থাকে।
বিষয়টি উঠে এসেছে পুলিশের এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনেও। তাতে বলা হয়, জিএমপি কমিশনার নাজমুল করিম খান ঢাকা থেকে গাজীপুরে যাওয়ার সময় সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১/১২টা পর্যন্ত গাজীপুর কলেজগেট থেকে ঢাকাগামী উড়ালসড়কে কোনো গাড়ি উঠতে দেওয়া হয় না। আবার রাতে জিএমপি কমিশনার যখন তার কর্মস্থল গাজীপুর থেকে ঢাকার গুলশানের বাসায় যান, তখন উড়ালসড়কের গাজীপুরমুখী লেনে কোনো যানবাহন উঠতে পারে না। এতে গাজীপুর-ঢাকা যাতায়াতকারী বিভিন্ন অফিসের যাত্রী, ছাত্রছাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জিএমপি কমিশনার মো. নাজমুল করিম খান বলেন, আমি শুধু গাজীপুরে গেলেই ডিস্টার্ব হয়, সচিব ও উপদেষ্টা মহোদয়রা ঢাকায় যে প্রটেকশন নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন, তাতে ডিস্টার্ব হয় না? আমার তো ওখানে (গাজীপুরে) বাসা নেই। কমিশনারের তো একটা বাংলো থাকার কথা ছিল, তাই না? বাংলো বানাইয়া দিতে বইলেন। আমি ওখানে ফ্যামিলি নিয়ে চলে যাব।
নাজমুল করিম খান জিএমপি কমিশনার পদে নিয়োগ পান গত বছর ১১ নভেম্বর। চলতি বছরের ১ মে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হন।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক