
কোন পথে তুরস্ক – ইসরাইল সম্পর্ক: সংঘাত নাকি সমঝোতা
তুরস্ক এবং ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা এখন শীর্ষে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে তুরস্ক অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। আবার তুরস্কের বিরুদ্ধেও ইসরাইল অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।
কিন্তু নিকট ভবিষ্যতে তুরস্ক-ইসরাইল যুদ্ধ বাঁধার সম্ভাবনা নেই। কারণ,
১। তুরস্ক ইসরাইলে আগ বাড়িয়ে আক্রমণ করবে না।
২। ইসরাইলও তুরস্কে আগ বাড়িয়ে আক্রমণ করবে না।
এর অন্যতম কারন তুরস্কের ন্যাটো সদস্যপদ। তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য হওয়ার কারণেই ইসরাইল তুরস্কে আক্রমণ করবে না। আবার ন্যাটো সদস্য হওয়ার কারণেই তুরস্ক ইসরাইলে আক্রমণ করবে না। একই সাথে সরাসরি সামরিক আক্রমণ করে দুটি দেশেরই জাতীয় স্বার্থের লাভক্ষতি বিবেচনায় রাখলেও সেটি কারো জন্য এই মুহূর্তে জাতীয় স্বার্থের পক্ষে না।
তাই এই দুটি দেশ সরাসরি সামরিক যুদ্ধে না জড়িয়ে
যে কাজগুলো করছে তা হলো:
১। পরোক্ষভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করা যেটা করেছে, করছে এবং করবে। যেমন ইসরাইল পিকেকে/কুর্দি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ইরাকে, সিরিয়ায়, তুরস্কে এবং ইউরোপে ব্যাপকভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে যারা তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
২। তুরস্ক হামাসকে এবং বর্তমান সিরিয়ার সরকারকে সাপোর্ট দিচ্ছে যেটা ইসরাইল মেনে নিতে পারছে না।
৩। আবার ইসরাইল সিরিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে যেটা তুরস্কের প্রভাব বলয়ে আক্রমণ।
৪। আবার আফ্রিকায় তুরস্ক এমন সব কাজ করছে যা ওখানে ইসরাইলের স্বার্থের বিরুদ্ধে লড়ায়ের সমতুল্য।
৫। তুরস্কের এখন যা হামকি ধামকি বা ইসরাইল বিরোধী সিদ্ধান্ত সেগুলো যতটা না গাজার জন্য তার চেয়ে বেশি সিরিয়ার জন্য। এখন সিরিয়ায় ইসরাইলকে পিছু হটাতে অথবা আমেরিকার মধ্যস্থতায় সেখানে ইসরাইলে থামাতে এখন তুরস্ক কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেগুলো উত্তেজনা বাড়িয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করবে।