
হামাসকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিয়ে গাজা চুক্তির জন্য ট্রাম্পের চাপ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রোববার ইঙ্গিত দিয়েছেন, গাজায় খুব তাড়াতাড়ি একটি সমঝোতা হতে পারে। এই সমঝোতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের হাতে আটক সব জিম্মির মুক্তির ব্যবস্থা করা। এর আগে তিনি ফিলিস্তিনি এই স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীকে তাঁর ভাষায় ‘চূড়ান্ত সতর্কবার্তা’ দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সফর শেষে ওয়াশিংটনে নামার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, বিমানে বসেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাধানের চেষ্টা করছি, যা খুব ভালো হতে পারে। শিগগিরই আপনারা এটা সম্পর্কে শুনতে পাবেন। আমরা চাই এটি শেষ হোক, জিম্মিরা ফিরে আসুক।’ তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
এর আগে, রোববারই ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, হামাসকে তিনি যে শর্ত দিয়েছেন, তা মেনে নিতে হবে। যদিও তিনি নির্দিষ্ট কোনো শর্ত প্রকাশ করেননি। ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘ইসরায়েল আমার শর্ত মেনে নিয়েছে। এখন সময় এসেছে হামাসেরও মানার। হামাসকে আমি পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করেছি। এটা আমার চূড়ান্ত সতর্কবার্তা, এর পর আর কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হবে না।’
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে যে প্রক্রিয়ার কথা বলেছেন তা ইসরায়েলি সাংবাদিক আমিত সেগাল এভাবে তুলে ধরেছেন:
১. প্রথম দিনেই ৪৮ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস।
২. এর বিনিময়ে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করবে।
৩. ইসরায়েল হাজারো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
৪. ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে শান্তি আলোচনা শুরু হবে।
৫. আলোচনার পুরো সময় জুড়ে যুদ্ধবিরতি বজায় থাকবে।
এই প্রস্তাব গৃহীত হলে যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি বন্দি বিনিময় ও শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।