
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট (রুশি/RUSI) এর ফাঁস হওয়া নথির বিশ্লেষণে করে জানা গেছে, তাইওয়ানে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন, আর এতে রাশিয়া সহায়তা করছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রাশিয়া চীনের কাছে এমন সামরিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম বিক্রি করছে, যা বেইজিংকে তাইওয়ানে আকাশপথে আক্রমণের সক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করতে পারে। এই তথ্য উঠে এসেছে ‘ব্ল্যাক মুন’ নামের একটি হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ দ্বারা ফাঁস করা প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠার গোপন রুশ নথিপত্রের বিশ্লেষণ থেকে।
চুক্তির আওতায় চীন পাচ্ছে:
১. ৩৭টি উভচর আক্রমণযান (Amphibious assault vehicles)
২. ১১টি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গান
৩. উচ্চতর প্যারাশুট সিস্টেম, যা ৮,০০০ মিটার উচ্চতা থেকে অবতরণ সম্ভব করে — “স্টেজ জিরো” ধরনের গোপন অভিযানে বিশেষভাবে কার্যকর।
নথিগুলোতে তাইওয়ানের নাম সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও রুশি বলছে, এসব সামরিক সহায়তা তাইওয়ান আক্রমণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চীনের প্যারাট্রুপার সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিশ্লেষণ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং চীনের সেনাবাহিনীকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এই চুক্তির মোট মূল্য প্রায় ২১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রতিবেদনের লেখক ওলেক্সান্ডার দানিলিউক ও জ্যাক ওয়াটলিং বলেন, চীনের প্যারাট্রুপার ইউনিট এখনও নবীন। রাশিয়ার কমব্যাট এক্সপেরিয়েন্স থেকে তারা কমান্ড, কন্ট্রোল ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অনেক কিছু শিখতে পারবে, যা চীনের আকাশপথ আক্রমণ সক্ষমতা ১০ থেকে ১৫ বছর আগেই অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
তবে চীন, রাশিয়া এবং তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়গুলো এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল হিসেবে দাবি করে এবং দ্বীপটিকে জোর করে দখলের সম্ভাবনা নাকচ করেনি। চীন তাইওয়ান সম্পর্কের উত্তেজনা দিনদিন বেড়েই চলছে।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক