
ল্যারি এলিসন: গাজা ধ্বংসযজ্ঞের অর্থদাতা ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের কারিগর
লরেন্স জোসেফ এলিসন ওরাকল কর্পোরেশনের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। ল্যারি এলিসন শুধু টেক বিলিয়নিয়ার নয়—সে ইসরায়েলপন্থী অবকাঠামোর অন্যতম প্রধান স্থপতি, যে এখন গণমাধ্যমেও প্রভাব বিস্তারের পথে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় বেসরকারি অর্থদাতা সে। শুধু “ফ্রেন্ডস অব দ্য আইডিএফ”-কেই রেকর্ড ১৬.৬ মিলিয়ন ডলার দান করেছে।
নেতানিয়াহুকে সে ঘনিষ্ঠ বন্ধু মনে করে এবং ওরাকলের বোর্ডে তাকে আসন দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
ওরাকলের ইসরায়েলি–আমেরিকান সিইও সাফরা ক্যাটজ কর্মীদের স্পষ্ট জানিয়েছে, কোম্পানির ইসরায়েল সমর্থনে আপত্তি থাকলে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে।
এলিসনের ছেলে ডেভিড এখন সিবিএস নিউজের নিয়ন্ত্রণে এবং তারা সিএনএন অধিগ্রহণের দোরগোড়ায়। পরিকল্পনা হচ্ছে প্রো-ইসরায়েল সাংবাদিক বারি ওয়েইসকে সিনিয়র পদে বসিয়ে সংবাদ কাভারেজ প্রভাবিত করা।
এলিসন এমন এক কনসোর্টিয়ামের অংশ, যাকে ট্রাম্প আশীর্বাদ দিয়েছে টিকটক দখলের জন্য। মূল লক্ষ্য হলো গাজার পক্ষে কনটেন্ট বন্ধ করা।
সব মিলিয়ে কৌশল স্পষ্ট: যুদ্ধের অর্থ জোগাও, তারপর মিডিয়া কিনে নিয়ে নিশ্চিত করো যাতে মানুষ শুধু একপক্ষের গল্পই শোনে।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক