1. Home
  2. বিশ্ব
  3. মার্কিন নৌবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মরদেহ কিনে ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে
মার্কিন নৌবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মরদেহ কিনে ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে

মার্কিন নৌবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মরদেহ কিনে ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে

0
  • 1 week ago,

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) ট্রমা সার্জারি প্রশিক্ষণ দিতে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসসি) থেকে মরদেহ কেনার চুক্তি করেছে। ইতোমধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস জেনারেল মেডিকেল সেন্টারে মরদেহ এনে আইডিএফকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

২০১৭ সালের শেষের দিকে মার্কিন নৌবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে মানব মৃতদেহ কেনার উদ্দেশ্যে একটি নোটিশ জারি করেছিল। চুক্তির একটিই উদ্দেশ্য ছিল, ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।

এই নোটিশের পর থেকে মার্কিন নৌবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কমপক্ষে ৮৯টি ‘তাজা মৃতদেহ’ কেনার জন্য ৮ লাখ ৬০ হাজার ডলারের বেশি অর্থ প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৩২টি দেহ লস অ্যাঞ্জেলেস জেনারেল মেডিকেল সেন্টারে আইডিএফ প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে মার্কিন নৌবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচ লাখ ডলারের বেশি অর্থ প্রদান করে। সাম্প্রতিক আরেকটি চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন নৌবাহিনীর ইচ্ছানুযায়ী আরও ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার মূল্যের মৃতদেহ কেনা হতে পারে। এ জন্য গত সাত বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট আয় প্রায় ১১ লাখ ডলারে পৌঁছাবে।

তবে চিকিৎসা পেশাদাররা প্রশ্ন তুলছেন, মৃতদের পরিবারগুলো জানে কি না, তাদের প্রিয়জনের দেহ সৈন্যদের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হতে পারে বা হচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের জবাব, তারা নিয়ম মেনে এই প্রোগ্রাম পরিচালনা করে।

২০২০ সালের একটি মেডিকেল পেপারে মার্কিন নৌবাহিনীর ট্রমা সার্জনরা বলেছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর চিকিৎসা কর্মীরা ‘কমব্যাট ট্রমা সার্জারি স্কিল কোর্স’-এ তাজা মানব মৃতদেহ ব্যবহার করা হয়েছে। এই মৃতদেহগুলো লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি অফিস অফ ডিসিডেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। সংস্থাটি কাউন্টির দাবিহীন মরদেহের দাহ ও সমাধি কার্যক্রম পরিচালনা করে।

মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি প্রফেসর টমাস চ্যাম্পনি বলেন, ‘যদিও তারা মৃত, তবুও তাদের প্রতি সম্মান, মর্যাদা এবং যথাযথ আচরণ করা উচিত – যেমনটি আমরা জীবিতদের ক্ষেত্রে করি।’

চাকরি হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশ না করা একজন মার্কিন চিকিৎসক বলেন, মেডিকেল শিক্ষায় দাবিহীন দেহ ব্যবহার ব্যাপকভাবে অনৈতিক বলে বিবেচিত হয়। আমরা সবাই জানি এটিতে সম্মতির প্রয়োজন।

কিছু দেহ ছিল লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির মৃতদের। যাদের কোন ওয়ারিশ নেই। পরিবারগুলো যথা সম্ভব তাদের আত্মীয়দের দেহের এইরূপ ব্যবহারে সম্মতি দেয়নি।

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের মেডিকেল ছাত্র ক্লেয়ার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এটি থেকে বেশ লাভ করে।’ তিনি এই চুক্তিগুলোকে ‘জঘন্য’ বলে অভিহিত করেন।

তথ্যসূত্র: ইউএসসি অ্যানেনবার্গ মিডিয়া

নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক