ভেনিজুয়েলায় সম্ভাব্য মার্কিন আক্রমণ “ড্রাগবিরোধী যুদ্ধ” নাকি সার্বভৌম রাষ্ট্রে আগ্রাসন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র “মাদকবিরোধী যুদ্ধ” নামে পরিচিত একটি সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা বাস্তবে ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আগ্রাসনমূলক পদক্ষেপ বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন।
মার্কিন অবস্থান ও প্রস্তুতি: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকটি মাদক চক্রকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছেন, যাতে আন্তর্জাতিক আইন পাশ কাটিয়ে সামরিক হামলার আইনি যুক্তি তৈরি করা যায়।
একটি নৌবহর ইতিমধ্যেই ভেনিজুয়েলার উপকূলে অবস্থান নিয়েছে। যার মধ্যে ডেস্ট্রয়ার, যুদ্ধজাহাজ ও একটি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে।
F-35 যুদ্ধবিমান ভেনিজুয়েলার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করছে।
ভেনিজুয়েলার প্রতিরোধ প্রস্তুতি: প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার দীর্ঘস্থায়ী গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা কোনো সাধারণ যুদ্ধ নয়।
ব্লাক ওয়াস্প শিল্ড (Black Wasp Shield) নামে কিউবার বিশেষ বাহিনী মাদুরোকে পাহাড়ি বাঙ্কারে সুরক্ষা দিচ্ছে।
গেরিলা নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা: অ্যাকটিভ প্রোলংড রেজিস্ট্যান্স (Active Prolonged Resistance) দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ কৌশল, যাতে ভেনিজুয়েলাকে ইরাক বা গাজার মতো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা যায় এবং মার্কিন বাহিনীকে বছরের পর বছর ব্যস্ত রাখা যায়।
অস্ত্র ও বাহিনী: শহরজুড়ে ৫,০০০+ সশস্ত্র প্যারামিলিটারি সদস্য (কোলেকতিভোস/Colectivos) মোতায়েন।
সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল যুদ্ধে প্রবেশ করতে পারে যা তেলের মূল্য বৃদ্ধিরও একটি কারন হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক