গ্রেট ওমরী মসজিদ এখন এক ধ্বংসস্তুপের নাম
গাজার হৃদয়ে দাঁড়িয়ে ছিল এক নিঃশব্দ সাক্ষী — গ্রেট ওমরী মসজিদ। আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত এই মসজিদ শুধু ধর্মীয় নয়, সাংস্কৃতিক ও জ্ঞানভাণ্ডারের প্রতীক ছিল। এর লাইব্রেরি একসময় ফিলিস্তিনের সমৃদ্ধ পাণ্ডুলিপি সংগ্রহের কেন্দ্র ছিল, যা মর্যাদায় জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের পরেই স্থান পেত।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ওমরী মসজিদ ইতিহাসের নানা ধ্বংসযজ্ঞের মধ্য দিয়েও বেঁচে ছিল —
ক্রুসেডারদের আক্রমণ,
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বোমাবর্ষণ,
ভূমিকম্পের ধ্বংস,
তবু মসজিদটি পুনর্নির্মিত হয়ে বারবার ফিরে এসেছে।
কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হলো না।
২০২৫ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের আক্রমণে এই মহান স্থাপনাটি সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একসময় আলেম ও গবেষকেরা যে লাইব্রেরিতে বসে পাণ্ডুলিপি তৈরি ও রক্ষা করতেন, সেই লাইব্রেরি এখন কেবল ধূলিকণায় রূপ নিয়েছে।
ইউনেস্কোর (UNESCO) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১১৪টি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে।
নিউজ টুডে বিডি/নিউজ ডেস্ক