
মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মিষ্টিকে (মিষ্টি জান্নাত) কয়েক দিন আগেই আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন আরেক অভিনেত্রী মির্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমা (তমা মির্জা)। একইসঙ্গে জান্নাতকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলা হয় নোটিশে।
গত ২৩ মে রেজিষ্ট্রি ডাকে তমা মির্জার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম এ নোটিশ পাঠান।
এবার ওই আইনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাত। জবাবে তমা মির্জার দেওয়া নোটিশকে অসত্য উল্লেখ করে তা প্রত্যাহার এবং তিন দিনের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ডাকযোগে তমা মির্জার আইনজীবী বরাবর নোটিশটি পাঠিয়েছেন মিষ্টি জান্নাতের আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি।
মিষ্টি জান্নাতের পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, মানহানির কথা বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন সাক্ষাৎকারে, কোন গণমাধ্যম বা টিভিতে বা কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় তা উল্লেখ করা হয়নি। অথবা নিদির্ষ্ট কোনো লিংকও দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় আইনি নোটিশটি প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া নোটিশে সংবাদ সম্মেলনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনের কোনো স্থান ও সময় উল্লেখ করা হয়নি। তাই এ নোটিশটি অস্পষ্ট এবং কল্পনাপ্রসূত। যার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এটির মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছাড়ানো হয়েছে এবং ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে। এতে মিষ্টি জান্নাতের মানহানি হয়েছে।
এ কারণে নোটিশটি প্রত্যাহার এবং নোটিশ গ্রহণের তিন দিনের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায়, তমা মির্জার বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে।
এর আগে তমা মির্জার পাঠানো নোটিশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা দুটি ভিডিও বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুটি ভিডিওতে মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী।
এতে বলা হয়, এসব বক্তব্যে সাংবাদিক ও দেশের জনগণের কাছে তমা মির্জার সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য তমার চরিত্র ও ব্যক্তিত্বে আঘাত হেনেছে। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডিজিটাল মিডিয়ায় এসব মানহানিকর বক্তব্য হয়রানির জন্য করা হয়েছে। এতে ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।
এসব কারণে নোটিশে সাত দিনের মর্ধ্যে জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়ে দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তীতে এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।