
ইসরাইলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে আলোচনায় আসলেও, ইরান এখনো তাদের সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শুরুই করেনি—এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ।
তেহরানে আয়োজিত সামরিক এক প্রদর্শনীতে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখানো হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের সর্বশেষ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এখনো গোপনেই রাখা হয়েছে।
গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই হামলা চালায় ইসরাইল। এর পাল্টা জবাবে ইরানের এলিট ফোর্স আই/আর/জিসি (ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস) একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরাইলের দিকে।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ইরান তাদের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি। বরং হামলাগুলো এমন কৌশলে চালানো হয়েছে, যার ফলে ইসরাইলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একপ্রকার ব্যর্থ হয়ে পড়েছে।
এদিকে, ইরানের পাল্টা হামলার ফলে ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (WSJ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ব্যবহৃত ইসরাইলি অ্যারো সিস্টেমের ইন্টারসেপ্টর সরবরাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ডব্লিউএসজে জানিয়েছে, ইসরাইল-ইরান চলমান সংঘর্ষে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদের অর্ধেকের বেশি এখনো অক্ষত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব অস্ত্রের অনেকগুলো ভূগর্ভস্থ গোপন ঘাঁটিতে রাখা আছে।
এদিকে ইসরাইল দাবি করেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই প্রতিরক্ষা সফলতার পেছনে ব্যাপক পরিশ্রম ও প্রযুক্তিগত চাপ সহ্য করতে হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে তারা।
তেল আবিব জানিয়েছে, ইরানের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী ইউনিট ইতোমধ্যে ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকি তারা ইরানের আকাশসীমায় ‘আধিপত্য’ প্রতিষ্ঠারও দাবি তুলেছে।
তবুও চলমান উত্তেজনার মধ্যে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, ইরান এখনো তাদের ‘গেম-চেঞ্জার’ অস্ত্রগুলো ব্যবহার শুরু করেনি। ফলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিউজটুডে বিডি/আন্তর্জাতিক ডেস্ক-তামান্না